সাহিত্য-বিজ্ঞান-কল্পবিজ্ঞান
স্বপঞ্জয় চৌধুরী
মূলত প্রতিটি বিষয়ের সংজ্ঞা তার নামের মধ্যেই লুক্কায়িত ÔEvery definitation concealed in its own nameÕ তদরূপ সাহিত্য শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ করলেই এর সংজ্ঞা কী হবে তা পরিষ্কার হয়ে যায়, সাহিত + আত্মা = সাহিত্য। অর্থ্যাৎ আত্মার সাথে যা কিছু সম্পর্কযুক্ত তাই হচ্ছে সাহিত্য বা সাহিত্যের প্রতিপাদ্য বিষয়; হতে পারে সেটি বিশ্ব, মহাবিশ্ব, লৌকিক, অলৌকিক কিংবা অধিলৌকিক কোন বিষয়বস্তু যা মানুষের আত্মায় ধরা দিয়ে পরিণত হয় সাহিত্যে। আত্মা শব্দটি এসেছে আত্ম বা নিজের অস্তিত্ব বা অস্তিত্ববাদের ধারণা থেকে।
অতএব, সহজেই প্রমাণ করা যাচ্ছে যে, সাহিত্য শব্দটির উদ্ভাবকগণ নিশ্চয়ই আত্মবাদ বা Spiritualism-এ বিশ্বাসী ছিলেন। তারা ধর্ম ও দর্শনের সংমিশ্রণে অন্য এক লৌকিক উপাখ্যানের সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন, যা মানুষের আবেগের সাথে জড়িত এবং সেটাই হচ্ছে সাহিত্য। নিজেদের পৃথক সত্তা বা সৃষ্টি শক্তির চর্চার জন্য তারা সাহিত্যের উদ্ভব করেছিলেন। অনেকটা ধর্ম ও দর্শনের বিকল্প হিসেবে। আত্মাকে তারা মনে করেন মানব মন ও অস্তিত্বের ধারক হিসেবে। আর তাইতো লালন গেয়েছেন, খাঁচার ভিতর অচিন পাখি, কেমনে আসে যায়। এরকম আত্মবাদমূলক সঙ্গীত রচিত হতে পেরেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আত্মা কী? আদৌ আত্মা বলে কিছু আছে কি-না? সাহিত্যের সঙ্গে এর সম্পর্ক কতটুকু? সাধারণত আত্মা বা আত্মবাদকে দুভাগে ভাগ করা হয়, যেমন-একত্মবাদ ও বহুত্মবাদ। একত্মবাদে আত্মা এক ও অবিনশ্বর এবং বহুত্মবাদে আত্মা অধিক অর্থাৎ এক্ষেত্রে আত্মা এক প্রাণ হতে অন্য প্রাণে স্থানান্তরিত হয়ে বহু আত্মায় রূপান্তরিত হয়। এম্পিডক্লিস এর মতে, বিরুদ্ধভাবাপন্ন শক্তির প্রভাবে আত্মা তার আদিম অবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্রমশ সজীবদেহে প্রবেশ করে। প্রথমে উদ্ভিদ, এরপর ইতর প্রাণী এবং সবশেষে মানুষ-এ তিনটি পৃথক স্তরের মাধ্যমে আত্মার পর্যায়ক্রমিক উন্নতি ঘটে। আত্মা সম্পর্কে পরমাণুবাদীদের দার্শনিক মত ছিল প্রগতিবাদী। তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অনেকাংশে আধুনিক বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির সাথে তুল্য। পূর্ববর্তী দার্শনিকগণ, বিশেষ করে এলিয়াটিকগণ সত্তাকে পূর্ণ, অবিভাজ্য নিশ্চল বলে মনে করেন। তাঁরা শূন্যদেশকে অসত্তা (Not being) বলেও অভিহিত করেন। পরমাণুবাদীদের মতে সিক্ত পৃথিবী থেকেই একদা প্রাণের উদ্ভব ঘটে। আগ্নেয় পরমানুগুলোই প্রাণীদেহের উত্তাপের কারণ। অর্থাৎ পরমানুবাদীদের মতে অসংখ্য মৌলিক, অবিভাজ্য ও নির্বিকার পরমাণুর সমবায়ে জগৎ গঠিত। আমাদের দেহে কর্কশ ও মসৃণ যেসব পরমাণু রয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মসৃণগুলোর সমন্বয়ে গঠিত আত্মা।
জগতের সব তত্ত্বই বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কোনো না কোনো সময়ে প্রতিষ্ঠা পাবে এবং এটাই হচ্ছে সত্য। তাই ধর্ম ও দর্শনের বিবর্তনে উদ্ভব হয়েছে সাহিত্যের। নবীর পরিবর্তে উদ্ভব হয়েছে কবি, ঋষি, মুণী, পীর, দরবেশ ও ধর্মতাত্ত্বিকদের।
অতএব বোঝা যাচ্ছে যে, দর্শন ও ধর্মতত্ত্বের নবসংস্করণ হিসেবে মুণী-ঋষি কিংবা দার্শনিকগণ সাহিত্যকে বেছে নিয়েছিলেন। এর মাধেমে তারা আত্মবাদের প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিজ্ঞান বিবর্তনবাদে বিশ্বাসী। বিশ্বাসী বললে ভুল হবে। বিজ্ঞানের কাজ বস্তুর বিবর্তন ঘটানো-চিন্তার বিবর্তন ঘটানো নিয়ে। সাহিত্যও ঠিক বিবর্তনবাদে পথ ধরেই এগিয়ে এসেছে। আজকের সাহিত্যে আত্মবাদ যতটুকু প্রতিষ্ঠিত তার চেয়ে অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত যুক্তি ও বিশ্লেষণ।
আধুনিক বিজ্ঞান বলে-আত্ম বলে যদি কিছু থেকে থাকে তা হচ্ছে মানুষের চিন্তা। চিন্তা বৈ ভিন্ন কিছু নয়। কিন্তু আমরা একটু আদিতে ফিরে গেলেই দেখব মানুষ তখন ভাবতো-আত্মাই জীবন ও মৃত্যুর যোগসূত্র। কল্পনার ফানুষ উড়িয়ে তারা ভেবেছে ঈশ্বরের নির্দেশে আজরাইল বা যমদূত এসে প্রাণহরণ করলেই কেবল মানুষ মারা যায়। আর তখন দেহস্থিত আত্মা পাড়ি জমায় পরলোকে। মৃত্যু নিয়ে মানুষের এ ভাববাদী চিন্তা জন্ম দিয়েছে আধ্যাত্মবাদের আর আধ্যাত্মবাদ জন্ম দিয়েছে মুণী, ঋষি, দরবেশ, নবী, বাউল, ফকির এমনকি তৎকালীন কবিদের। কালবিবর্তনে আধ্যাত্মবাদের সূত্র ধরেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছে ভাববাদী সাহিত্য, যার সমগ্রটা জুড়েই ছিল ঈশ্বর বন্দনা। ধর্ম গ্রন্থের একই বয়ান ও স্তুতিতে মানুষ যখন হাঁফিয়ে উঠেছিল তখন সেইসব মুণী, ঋষি, বাউল, ফকির, দরবেশ জন্ম দিয়েছিল ভাববাদী সাহিত্যের। আধ্যাত্মবাদের প্রমাণবিহীন যুক্তি যেকোনো বুদ্ধি সচেতন মানুষকে হতবাক করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। আধ্যাত্মবাদ সত্ব প্রমাণ এই থেকেই ধরে নেয় যে, আত্মা জন্মহীন, নিত্য, অক্ষয়। শরীর হত হলেও আত্মা হত হয় না। মজার ব্যাপার হলো একদিকে যেমন আত্মাকে অমর অক্ষয় বলা হচ্ছে, অপরদিকে জোর গলায় প্রচার করা হচ্ছে আত্মাকে কাটা যায় না, পোড়ানো যায় না, আবার সেই আত্মাকেই পাপের শাস্তি স্বরূপ নরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা, গরম তেলে পোড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসবই আধ্যাত্মবাদের স্ববিরোধিতা| এ সকল ঘটনাকেই পুঁজি করে রচিত হয়েছে ধর্মগ্রন্থ এবং যা গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে ঈশ্বর প্রেরিত গ্রন্থ হিসেবে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ঐ সকল ধর্মগ্রন্থগুলোকে কেন্দ্র করেই গঠিত হয়েছিল প্রাচীন সাহিত্যের যা পরিপূর্ণ ছিল নানান অলৌকিক ঘটনা, কিসসা, কাহিনী, জ্বিন, ভূত, পরী, দেবদেবী, শয়তান আজরাইল, ফেরেশতা, বেহেশত, দোজখ, আখিরাত এসব বিষয় নিয়ে। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি রামায়ণ, আরব্য রজনীর গল্প, দেবকীর্তণ, মহাভারত ও এ সংক্রান্ত বহু গ্রন্থ যা ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। যার কোনো প্রমাণ নেই; নেই কোনো ভিত্তি। টুকনো মৃত্যু ভয়কে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে এক অলীক বিশ্বাসের- জীবের মৃত্যু হবে, এটাই জীবের ধর্ম। অতএব সাহিত্যের শুরুটা ধর্ম ও ভাববাদী মিথ্যা চারণে পরিপূর্ণ, যার পুরোটা জুড়েই আছে অলৌকিকতা। ধর্মগ্রন্থে যেসব নীতিবাক্য এসেছ বহু পূর্বেই তা গ্রীক দর্শনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এসব বিষয় থেলিস, এনাক্সিমান্ডার, এনাক্সিমিনিস, পিথাগোরাস, জেনোফ্যানিস, পারমেনাইডি, এরিজোনা, এম্পিডক্লিস, প্লেটো, সক্রেটিস দর্শনে এসেছ। তা নতুন করে ব্যাখ্যা দেবার কিছুই নেই। অলস ও সুবিধাবাদী সম্পদশালী ব্যক্তিরাই সামজের বুদ্ধিমান ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের দ্বারা ভাবাদী সাহিত্য ও দর্শনের বিস্তার ঘটিয়ে পরোক্ষভাবে নিজেদের পুঁজিবাদকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু সবচেয়ে গর্ব করার মতো বিষয় হচ্ছে এই যে, আজকের সাহিত্য ধর্মের মোড়ককে ছিন্ন করে দেশ, জাতি, বিশ্ব মহাবিশ্বের চূড়ান্ত সত্যকে লালন করে এগিয়ে চলছেন স্বমহিমায়| কার্ল মার্কস, আইনস্টাইন, ডেমোক্রিটাসের মতো শক্তিমান দার্শনিকদের সংস্পর্শে সাহিত্য তার নামের মধ্যে থেকে আত্মবাদকে ছেটে ফেলে হয়ে ওঠেছে যুক্তিবাদী ও মানবতাবাদী।
এক কথায় এটাই প্রমাণিত হয় যে, আত্মা বলে কিছু নেই। মানুষের চিন্তা বা চেতনা থেকেই জ্ঞান ও প্রাণের উৎপত্তি। বিষয়টিকে আরেকটু বৈজ্ঞানিক যুক্তিতে দাঁড় করানো যায়। আমাদের মস্তিষ্কই হচ্ছে সকল চিন্তার উৎপত্তি। মানবদেহের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ রয়েছে-মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড আর ফুসফুস। যে কোনো একটির বা সবগুলোর কার্যকারিতা নষ্ট হলে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বন্ধ হওয়াকে বলে কোমা, হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বন্ধ হওয়াকে বলে সিনকোপ আর ফুসফুসের কার্যকারিতা বন্ধহওয়াকে বলে আসফিক্সিয়া। অর্থ্যাৎ এখানে আত্মার কোনো অস্তিত্ব নেই। মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথে তার চেতনারও মৃত্যু হয়।
একজন কবি-কবিতা লেখেন, ঔপন্যাসিক উপন্যাস লেখেন, নাট্যকার নাটক লেখেন। একেক জনের সৃষ্টিকর্ম একে রকম। এর করারণ হচ্ছে একে জনের পদ্ধতিগত চিন্তা একেক রকম। যে সাহিত্যিক তাঁর চিন্তার গভীর ও সূক্ষ্মতম পর্যায়ে পৌঁছুতে পারবে, তার সৃষ্টিকর্ম ততই সৌন্দর্যমণ্ডিত হবে। তবে তথ্য ও যুক্তিবহুল সাহিত্য রচনায় বিজ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। অবশ্য এ ক্ষেত্রে উপস্থাপনটাও জরুরি, সাথে রয়েছে ছন্দবিজ্ঞান ও কল্পবিজ্ঞান। ব্যক্তির কল্পনা করার বাস্তবিক ক্ষমতাই হচ্ছে কল্পবিজ্ঞান। সাহিত্যিকরা মূলত তাদের জ্ঞানলব্ধ চেতনাকে কল্পবিজ্ঞানের মাধ্যমে চর্চা করে তৈরি করেন সাহিত্য। যে কারণে ধর্মকেন্দ্রিক সাহিত্যগুলো ছিল অবৈজ্ঞানিক কারণ তা পরিপূর্ণ ছিল অস্বভাবিক কাল্পনিক ঘটনা দ্বারা নির্মিত। বস্তুত অধিকাংশ সাহিত্যের বিষয়বস্তুই অবাস্তবিক। বিশেষ করে কবিতা। কিন্তু তাই বলে তা অবৈজ্ঞানিক নয়। আধুনিক কবিগণ তাদের চিন্তার চেফনে শত শত যুক্তি দাঁড় করিয়েই কিন্তু কাব্য চর্চা করেন। অযৌক্তিক কোন সাহিত্য কর্মই টিকে থাকবে না। মানুষের আবেগ ও চেতনাকে জাগ্রত করাই হচ্ছে সাহিত্যের কাজ। বিজ্ঞানে গ্যালিলিওর বৈজ্ঞানিক কার্যক্রমে আবেগ, প্রপাগাণ্ডা এণ্ড হক প্রকল্পের ব্যবহার ছিল। বিজ্ঞান মনষ্ক সাহিত্যিক কিংবা শিল্পীদের তালিকায় প্রথমেই যার নাম চলে আসে তিনি হচ্ছে রেঁনেসা যুগের সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যক্তিত্ব লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি (১৪৫২-১৫১৯) ; তাঁকে মূলত আমরা একজন ভাস্কর ও চিত্রকর হিসেবেই জানি। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন এর চেয়েও বেশি কিছু; তাকে কবি, প্রকৌশলী, স্থপতি, পদার্থবিদ, জীববিজ্ঞানী এবং দার্শনিকও মনে করা হয়।
তিনি হেলিকপ্টার ও প্যারাসুটের নকশা এঁকেছিলেন। এছাড়াও তিনি নানা যন্ত্রপাতির নকশা বা কাঠামো এঁকেছিলেন। তাঁর এই বৈজ্ঞানিক কল্পনা, চিন্তা-চেতনা ও এর বহিপ্রকাশ এবং পরবর্তীকালে এগুলোর আবিষ্কারের মাধ্যমে তাঁর কল্পনার সত্য প্রতিষ্ঠা : এ সবই হচ্ছে কল্পবিজ্ঞানের ফসল। লিওনার্দোর এই দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল-তাঁর সমসাময়িক আলবার্টি, পাওলো টসকানেলী, লুকা প্যাসিওলি, এন্টোনিও ডেলা টোরে, বোতিচেলি এবং ডুইরার প্রমুখ। যে সাহিত্য দেশ ও জাতির কোনো কল্যাণে আসে না তা মূল্যহীন। সাহিত্যকে অবশ্যই প্রগতিশীল হতে হবে। প্রগতি ছাড়া মুক্তি অসম্ভব। বাংলাদেশের প্রগতিশীল ও বিজ্ঞান মনস্ক সাহিত্য চর্চায় যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে হুমায়ুন আজাদ, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, আসিফ, অজয় রায়, রুশো তাহের প্রমুখ। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি কল্পবিজ্ঞান হচ্ছে তাই; যা ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠা পাবে এমন কিছুর কল্পনা। ইদানিং সাহিত্যে কল্পবিজ্ঞানের চর্চা আশাব্যঞ্জক কিন্তু কিছু উঁচুগোত্রের শক্তিমান লেখক কল্পবিজ্ঞানের সাথে অ্যাডভেঞ্চার ও মারদাঙ্গা চরিত্রের উত্থান ঘটিয়ে ব্যবসায়িক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন। যা প্রকৃত জ্ঞান পিপাসুদের জন্য অবশ্যই শঙ্কার কারণ। যেমন বিজ্ঞান নিয়ে অজ্ঞ লেখকও কাল্পনিক চরিত্র উপস্থাপন করে কিছু একটা আজগুবি গল্প ফেঁদে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বা সাইন্সফিকশন লেখার চেষ্টা করেছেন। বিজ্ঞান চায় যুক্তি, সাহিত্য চায় মুক্তি-চিন্তার মুক্তি। সব সাহিত্যই কল্পবিজ্ঞান কিন্তু বিজ্ঞান নয়। সাহিত্যে বিজ্ঞানের জোয়ার আনতে হলে ঘরে ঘরে বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ তৈরি করতে হবে।
বিশ্বে মৌলবাদী গোষ্ঠী খুবই শক্তিশালী। সাহিত্যের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। তাই অন্ধকারাচ্ছন্ন জাতিকে পথ দেখাবার জন্য বিজ্ঞান, তথ্য, যুক্তি ও প্রযুক্তিভিত্তিক সাহিত্যের বিকল্প নেই।
তথ্যসূত্র :
১. পাশ্চাত্য দর্শন : ড. আমিনুল ইসলাম
২. বিজ্ঞান-অপবিজ্ঞান-বিজ্ঞান সংস্কৃতি : রুশো তাহের
৩. W.C. Dampier Ibid P103
৪. মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে : অভিজিৎ রায়, ফরিদ আহমেদ
৫. বিজ্ঞান, পদ্ধতি ও প্রগতি : গালিব আহসান খান
সূত্র: দার্শনিক, ফেব্রুয়ারি/২০০৯