বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১১

Ananda Mohan College: a wonderful memory in my early life

আনন্দ মোহন কলেজের সাত বছরের স্মৃতি
গাজী সাইফুল ইসলাম

গাজী সাইফুল ইসলাম
১৯৮৩-১৯৮৪ ব্যাচে ম্যাথম্যাটিকস-এ অনার্স ভর্তি হলামম্যথমেটিক্‌স অবশ্যই প্রিয় বিষয় কিন্তু পদার্থ, রসায়ন কখনোই নয়কারণ ওসব বিষয়ের রয়েছে প্র্যাক্টিক্যালনেত্রকোণা সরকারি কলেজে পড়ার অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছিলাম, প্র্যাক্টিক্যাল খুব খারাপ জিনিসপ্রাইভেট পড়ে শিক্ষকদের সন্তুষ্ট করতে না পারলে প্র্যাক্টিক্যালে নাম্বার পাওয়াটা কঠিন হয়তাই প্রিয় বিষয়ে ভর্তি হয়েও মনটা খুঁত খুঁত করছিলহঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, ম্যাথম্যাটিকস পড়ব নাঅর্থনীতি পড়বদরখাস্ত করাই ছিলকিন্তু ঝামেলা বাধলোভর্তি পরীক্ষায় রিটেনে ভালো করতে পারিনিনাম ওয়েটিং লিস্টেবিভাগীয় প্রধান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া কিছুতেই ভর্তি করবেন নাদ্বিতীয়বার, একদিন, খুব সকালে, তাঁর সঙ্গে ডিপার্টমেন্টে দেখা করে অনুরোধ করলামঅন্য কোনো স্যার তখন ডিপার্টমেন্টে ছিলেন নাতিনি কিছু একটা লিখছিলেনআমার দিকে একবার তাকিয়ে একটা কাগজ টেনে ক্যালকুলাসের একটা অঙ্ক দিয়ে বললেন, যদি এটা পারো তাহলে ভর্তি করে নেবোনা পারলে সোজা চলে যাবেঅঙ্কটা দেখে আমি খুব হতাশ হয়ে পড়লামপারব না জেনেও কিছু চেষ্টা্‌ করলামকিছুক্ষণ পর স্যার আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আর কোনো কথা নেই, তুমি যাওবলে যে মুহূর্তে তিনি রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে বাবু স্যার (বাবু স্যার ছিলেন খুব সুন্দর, চাল-চলনে আধুনিক, স্মার্টতাঁর পুরো-সুন্দর নাম আমি জানি না, মাস ছয়েক পরেই তিনি সম্ভবত পরিকল্পনা কমিশনের একটা চাকুরি নিয়ে আনন্দ মোহন কলেজ ত্যাগ করেছিলেন।) রুমে ঢুকলেনআমি মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছিমজিবুর রহমান ভূঁইয়ার শেষ কথাগুলো তাঁর কানে গিয়েছিলতিনি একটা চেয়ার টেনে বসতে বসতে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কী ব্যাপার? মন খারাপ কেন?
ঘটনা বললাম


 আনন্দমোহন কলেজ ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রবেশপথ
স্যার জানতে চাইলেন, কোথাও চ্যান্স পাওনি?
ম্যাথম্যাটিকস-এ পেয়েছি স্যার
তাহলে ভর্তি হয়ে যাও
স্যার আপনাকে মিথ্যে বলব না, ভর্তিও হয়েছিকিন্তু ম্যাথম্যাটিকস পড়তে আমার ইচ্ছে করছে না
আচ্ছা ঠিক আছে, বলো তো আমি অঙ্কে কাঁচা ইংরেজি কী?
বললাম, আই অ্যাম ডাল ইন ম্যাথম্যাটিকস, আই অ্যাম ইনডিপারেন্ট টু ম্যাথম্যাটিকস, আই অ্যাম উইক ইন ম্যাথম্যাটিকস, আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলাম
স্যার বললেন, থামো থামোদারুণ বলেছ তো
ঠিক সেই মুহূর্তে মজিবুর রহমান ভঁইয়া স্যার আবার রুমে ফিরে এলেন
আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, কী তুমি এখনো দাঁড়িয়ে আছ?
বাবু স্যার বললেন, স্যার, ওকে ভর্তি করে নিন
ও তো কিছুই পারে না
না স্যার, ও ভালো ইংরেজি জানে
তাই নাকি? আচ্ছা, তুমি যখন বলছ-নিয়ে নিলাম
এভাবেই আনন্দ মোহন কলেজে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হলো আমারকিন্তু আমি কি তখনও জানতাম যে, এ কলেজটির রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস, গর্ব করার মতো ঐতিহ্য? পরে জেনেছি, যাঁর নামে কলেজের নামকরণ তিনি আনন্দ মোহন বসু, প্রথম ভারতীয় র‌্যাংলার, বিজ্ঞানাচার্য স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর ভগ্নিপতি১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে আনন্দ মোহন বসু ময়মনসিংহ শহরের রামবাবু রোডে প্রতিষ্ঠা করেন ময়মনসিংহ ইনস্টিটিউটপরে ইনস্টিটিউটটির নামকরণ করা হয় সিটি কলিজিয়েট স্কুলপরে ব্রাহ্মসমাজ ১৮ জুলাই ১৯০১, কলকাতা সিটি কলেজের একটি অ্যাফিলিয়েট ব্রাঞ্চ এখানে চালু করেনকিন্তু আনন্দ মোহন বসুর মৃত্যুর পর ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে কলেজ ব্রাঞ্চটি বন্ধ হয়ে যায়দুই বছর পর, ময়মনসিংহের একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাম মি. ব্লাকওড, কলেজ শাখাটি পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেনএই প্রক্রিয়ায় কলেজটি নতুন নামকরণ হয় আনন্দ মোহন কলেজপ্রফেসর বৈকণ্ঠ কিশোর চক্রবর্তী ছিলেন এই কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অ্যাফিলিয়েটেড ছিলদেশ বিভাগের পর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অ্যাফিলিয়েটেড হয়পরে ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে এর জাতীয়করণ করা হয় এবং একই বছর চালু হয় বাংলা ও ইতিহাসের বিষয়ের ওপর অনার্স কোর্সআজকের আনন্দ মোহন কলেজ আমাদের সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দরপুকুরঘাটের অদূরে ছেলেদের হোস্টেলপাড় ধরে পথপথের ওপর কৃষ্ণচূড়া আর শিমুল গাছযখন সবুজ ঘাসের ওপর রক্তলাল শিমুল আর কৃষ্ণচূড়া ঝরে পড়ে থাকে বড় সুন্দর দৃশ্যের অবতাড়না হয় তখন
তবে আনন্দ কলেজের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ফেব্রুয়ারিএইদিন এ কলেজে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দেয়া হয়েছিল এক আবেগময় সংবর্ধ্বনাতখন কবির সঙ্গে ছিলেন তাঁর পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও পত্রবধূ প্রতিমা দেবী এবং বিশ্বভারতীর কজন অধ্যাপকসংবর্ধ্বনার উত্তরে রবীন্দ্রনাথ ছাত্রদের উদ্দেশ্যে একটি দীর্ঘ ভাষণ প্রদান করেছিলেনসেই ভাষণে তিনি বলেছিলেন,... উপদেষ্টা ও শ্রোতার ভিতরে আবহমানকাল থেকে একটা ব্যবধান সৃষ্টি হয়ে আসছে যা কোনদিনই যাবার নয়, আর যা চিরদিন শিক্ষককে ছাত্র হতে অনেক দূরে সরিয়ে রেখেছেআমি আজ ক্ষণকালের জন্য তোমাদের কাছে কিছু বলে যাব সেই চিরন্তন ব্যবধান অতিক্রম করার জন্যআমি শান্তি নিকেতনের ভিতরেও এ ভেদ দূর করতে চেষ্টা করছিযখনই সেখানকার ছাত্রদের সঙ্গে মিশতে চেয়েছি, তখনেই তাদের সুখদুঃখের ভার নিয়ে মিশেছিগুরুশিষ্যের সম্মানের দূরত্বের উপর দাঁড়িয়ে কখনও  কোন কাজ করিনি, বয়স্যভাবে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিআমার বিশ্বাস, বাইরে যাই থাক অন্তরে অন্তরে সমবয়সী না হলে তাদের সঙ্গে কোন কথা বলা চলতে পারে না।... রবীন্দ্রনাথের এ ভাষণ ২৫ জানুয়ারি ১৯২৬ কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল বর্তমান শিক্ষার দুগর্তি শিরোনামেআমাদের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক এখনও রবীন্দ্রনাথের সময়ের মতোই জটিল রয়ে গেছেফলে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে দূরত্ব দিন দিন আরও বাড়ছে বৈ কমছে নাশিক্ষা হয়ে যাচ্ছে ব্যবসামুখী
শশীকান্ত লজের সিঁড়িতে রবীন্দ্রনাথ

কিন্তু আমি এসেছিলাম এমন একটি পশ্চাৎপদ কৃষক পরিবার থেকে যাদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে নেয়ার কোনো সামর্থই ছিল নাদেড় বছর ব্রহ্মপুত্রের অপর পাড়ে, কমপক্ষে তিন মাইল দূরে, গোবিন্দপুরে লজিং থেকেছিএরপর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই এবং কিছুটা সুস্থ হয়ে লজিং ছেড়ে উঠি গিয়ে বড় বাজারের মনির উদ্দিন মুন্সির ভাঙা দুতলার মেসেমনির উদ্দিন মুন্সির মেস পর্যন্ত পৌঁছতে আমাকে অনেক বেগ পেতে হয়েছেস্থানাভাবে একটি রাত আমাকে কাটাতে হয়েছে ইতিহাস বিভাগের ক্লাশ রুমের বেঞ্চে বসেমনতোষ চক্রবর্তী স্যারের ম্যাক্রো অর্থনীতির মোটা বইটা মাঝেমধ্যে মাথার নিচে দিয়ে শুয়ে ঘুমোনোর চেষ্টা করেছি
আমার সাবসিডিয়ারি সাবজেক্ট ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও দর্শনভাবজগতের মানুষ বলেই বোধহয় দর্শনের ক্লাশগুলো বরাবরই আমার ভালো লাগতবিশেষ করে, মোজাফফর হোসেন স্যার (বর্তমানে ঢাকা নিবাসি, বিজ্ঞান চেতনা পরিষদের সঙ্গে যুক্ত, আরজ আলী মাতুব্বর টাস্ট্রের সঙ্গে যুক্ত, হোমিও চিকিৎক, বিশিষ্ট কলাম লেখক ও টমাস হার্ডির দি মেয়র অব ক্যাস্টারব্রিজ উপন্যাসের অনুবাদক) যখন সুখবাদ পড়াতেন, আমার মনে অসংখ্য প্রশ্ন জাগতক্লাশেই স্যারকে অনেক প্রশ্ন করতাম, তিনি হাসি মুখে উত্তর দিতেনকখনো বলতেন, ক্লাশের পরে তুমি এসো- সব প্রশ্নের উত্তর পাবেএসব প্রশ্নের জন্য সাবসিডিয়ারি ক্লাশের ছাত্ররা ঠাট্টা করে আমাকে দার্শনিক বলে ডাকতএখন আমি দার্শনিক নামে সাহিত্য ও দর্শন বিষয়ক একটি মাসিক ম্যাগাজিন সম্পাদনা করিদেশের বিশিষ্ট লেখকদের লেখায় কাগজটি সমৃদ্ধ হয়
সাবসিডিয়ারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থনীতি বিভাগের সঙ্গে আমাদের কেমন যেন একটা দূরত্ব ছিলএমন কি বিভাগের ছাত্রছত্রীদের পরস্পরের মধ্যেওহ্যাঁ, সাবসিডিয়ারির পরেই ছাত্র ও শিক্ষকগণ আমরা সত্যিকারের পরস্পর ঘনিষ্ঠ হলামসবাই সবার নাম জানলামশিক্ষকদের মধ্যে মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, মনতোষ চক্রবর্তী, হাবিবুল্লাহ বাহার, শামছুর রহমান, পরে যোগদান করা বসির উদ্দিন স্যার ছিলেন সবার প্রিয়যত ধুলি মলিনই হোক, মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত এসব নাম কোনোদিন স্মৃতি থেকে মুছে যাবে না? অন্যবিভাগের শিক্ষক হলেও ইতিহাসের মনিরুজ্জান স্যারকে আমার সবাই ভয় করতাম১৯৬৯-এর গণ আন্দোলনের শহীদ আসাদের ভাই বলে তাঁর প্রতি আমাদের অন্যরকম একটা শ্রদ্ধাও জেগে থাকতবাংলা বিভাগের প্রণব চৌধুরী সরাসরিই আমার শিক্ষক হয়েছিলেন মুসলিম ইনস্টিটিউটে, কিছুদিন তিনি আমাদের কবিতার ছন্দের ওপর ক্লাস নিয়েছিলেন
মনতোষ চক্রবর্তী স্যারের কথা কী বলব? এ ভেরি গুড টিচার, ম্যান অব গ্রেট হার্ট তাঁর ক্লাশ মানেই ছাত্রদের জন্য আদর্শ একটি ক্লাশহাওয়ার্ড ফাস্টের একটা কথা আছে, একজন মানুষ কত বড় তার প্রমাণ মেলে ছোটদের সঙ্গে তার ব্যবহারের নমূনা দেখেহাওয়ার্ড ফাস্টের এ কথার সূত্র ধরেই মনতোষ চক্রবর্তী স্যারের একটা মূল্যায়ণ আমি করতে পারি-একদিনের একটি গল্প বলার মাধ্যমেডিপার্টমেন্টের কী জানি একটা অনুষ্ঠান, আজ মনে নেইগান গেয়েছিলেন আমাদের সিনিয়র এক বোন ফওজিয়া জাহান পপি, সাবেক ভিপি কাজী আজাদ জাহান শামীমের ছোট বোনআমি পড়েছিলাম স্বরিচত  একটি কবিতাআল্পনা রায়ছাত্ররা কেউই শুনেনিসবাই কথা বলছিলমনতোষ চক্রবর্তী স্যার ছিলেন শ্রোতার সারিতেতিনি উঠে এসে আমার হাত থেকে স্ক্রিপটা নিয়ে মাইকের কাছে গিয়ে দাঁড়ালেনরুমে পিন পতন নিরবতাস্যার বললেন, ওর কবিতাটি তোমরা শুনলে নাআমার কাছে ভালো লেগেছেএবার আমি পড়ছি, শোনস্যার সেদিন আমার কবিতাটি পড়ে যে সম্মান আমায় দিয়েছিলেন, তা আমি মনে রেখেছি
১৯৮৩ থেকে ১৯৯০, এই সাত বছরে বেশ কজন অধ্যক্ষ পেয়েছি আমরাকিন্তু সব অধ্যক্ষের সঙ্গে তো আর ছাত্রদের সমান সম্পর্ক গড়ে উঠে নাএই মুর্হর্তে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে অধ্যক্ষ হাসান ওয়ায়েজ স্যারের কথাতিনি ছাত্রদের সঙ্গে খুব ফ্রি ছিলেনপ্রায়ই কলেজ হোস্টেল পরিদর্শনে যেতেনতখন রুমে রুমে গিয়ে ছাত্রদের সুযোগ-সবিধার কথা জানতে চাইতেনএমনকি চলার পথে কোনো ছাত্রের সঙ্গে দেখা হলে, মুখ চিনতে পারলেই তিনি কুশল জিজ্ঞেস করতেনএকদিন তরুণ হোস্টেলের নিচ তলার দুই নাম্বার রুমে আমার রুমমেট গফরগাঁয়ের শফিক তার জুতো পালিশ করছিলস্যার এসে দেখে ফেললেনবললেন, খুব ভালো, সব কাজ নিজের হাতে করছিসখুব ভালো একদিন এক ছেলের মুখে ঘা হয়েছেকড়িডোরে সে স্যারের সঙ্গে কথা বলছিলবলছিল, মুখে ঘায়ের জন্য কিছু খেতে পারছে নাস্যার তাকে ঠাট্ট করে বললেন, কাঁচা মরিচ চিবিয়ে খাভালো হয়ে যাবে একই সঙ্গে নিজের কথাও বললেন, আমি কাঁচা মরিচ খেতে পারি নাআমার তো আলসার
ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক নিয়ে তিনি একবার আমাকে বলেছিলেন, ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কটা একটা ভিন্ন ধরনের সম্পর্কনা পিতা-পুত্রের, না বন্ধুত্বেরএটা অধিক গুরু শিষ্যেরঅন্যকথায়, শিক্ষক হলেন ছাত্রের spiritual Father তাঁর এ কথা কতই না মূল্যবান
 ইসলামি ফান্ডেশনের বক্তৃতার অনুষ্ঠানে, বিজ্ঞান মেলার উপস্থিত বক্তৃতায় তিনি যখন সভাপতিত্ব করতেন আমার সাহস বেড়ে যেতস্যারের সঙ্গে এখন পর্যন্ত আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ রয়েছেঢাকার উত্তরায় সপরিবারে তিনি যাপন করছেন সুখী সুন্দর জীবনপত্রিকার লেখা, সম্পদনা করা, বিশ্ব সাহিত্যে ওপর গবেষণা করা আর দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজনদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করার সুবাধে একদিন পরিচয় হলো আনন্দ মোহন কলেজেরই আরেক সাবেক অধ্যক্ষ, জাতীয় অধ্যাপক কবীর চোধুরীর সঙ্গে২০০৮ সালে অ্যাডর্ন পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত আমার একটি অনুবাদ গল্পের বইয়ে তিনি তাঁর অভিমত প্রদান করেছেনতাঁর অনুবাদকৃত বিশ্বসাহিত্যের বহু বইয়ের রিভিউ আমি করেছি জাতীয় দৈনিকের সাময়িকীতে ও সাহিত্য বিষয়ক ম্যাগাজিনে
ক্লাশমেটদের অনেকের কথাই এই মুর্হতে আমার মনে পড়ছে, নূরুজ্জামান, রফিক, শহীদুল, আলো, কামাল (বর্তমানে অর্থনীতির বিভাগেরই শিক্ষক), আমিন, জহিরুল, নজরুল, নীলু, শ্রাবনি, শিউলি, লূসি, বিউটি কে কোথায় আছে সবার কথা জানি না-কিন্তু হৃদয়ের গহীন তলে তাকালে তাদের প্রত্যেকের মুখ দেখতে পাই




গাজী সাইফুল ইসলাম: লেখক, অনুবাদক গবেষক
প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা-10


কোন মন্তব্য নেই :