সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১১

প্রকৃতির মতো মানুষও বড় বেহিসেবী

গাজী সাইফুল ইসলাম

শিরোনামটা উল্টোও হতে পারত-মানুষের মতো প্রকৃতিও বড় বেহিসেবী? বিবেচনাহীন? মানুষের মধ্যে যেহেতু রকমফের রয়েছে, ভালোমন্দের বোধ বিচার রয়েছে কাজেই ক্ষেত্র বিশেষ বা ব্যক্তি বিশেষ ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সুবিবেচনা পেয়ে থাকি। তাইতো দেখা যায়, আহতকে আমরা আঘাত না করে বরং সেবা দিই। ক্ষুধার্তকে খাদ্য দিই। বেদনার্তের জন্য সহমর্মী হই। কিন্তু প্রকৃতির (প্রকৃতি বলতে এই নিবন্ধে আমরা প্রকৃতিকেই বোঝাব, আল্লাহ, খোদা বা ভগবান নয়) মধ্যে তেমন গুণের সমাবেশ কি আমরা দেখি? মনে হয় না। কারণ, ভাঙা ঠেঙ গর্তে পড়ে, বিপদের ওপর বিপদ আসে। প্রবাদসমান কথাগুলো মানুষের অভিজ্ঞতা, প্রকৃতি থেকে পাওয়া। প্রকৃতি বোঝে না কারা ভূমিকম্পের আঘাতে মরতে বসেছে। কারা সুনামির কারণে ভেসে গেছে। কারা বিপন্ন হয়ে উদ্ধারের প্রত্যাশায় চিৎকার করছে। তাহলে ভূমিকম্পের সহযোগি হয়ে সুনামি আসত না, ভূমিকম্পের আঘাতের ফলোশ্রুতিতে পারমানবিক চুল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটত না। মাত্র অর্ধশতাব্দি আগে যে জাপান জাতিটি আনবিক বোমার আঘাতে অর্ধেক পুড়ে গিয়েছিল, যে ক্ষত এখনও শুকোয়নি, সেখানে আনবিক চুল্লির ভয়াবহ বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটত না। আসলে প্রকৃতিকে মানবীয় করণের চেষ্টা বৃথা। এক হৃদহীনের কাছে হৃদয়ের কী মূল্য আছে?
বলছিলাম, জাপানের কথা। এক ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পতিত একটি জাতির কথা। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিপতিত একটি মানব সভ্যতার কথা। অথচ জাপানকে পর্যায়ে আসতে কী অকল্পনীয় পরিশ্রমই না করতে হয়েছে। মাত্র অর্ধশতাব্দির প্রচেষ্টায়, গরীব সাধারণ একটি দেশ থেকে জাপান রাজা, মহারাজা হয়ে ওঠেছিল। কিন্তু ১১ মার্চের ভূমিকম্প সুনামির কারণে দেশটির সার্র্বিক পরিস্থিতি এতই খারাপ হয়ে পড়েছে যে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান প্রচার মাধ্যমে বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, ১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। কিন্তু কেন ভূমিকম্প, সুনামি? প্রশ্নের উত্তর অনেকেই অনেকভাবে দিতে চাইবেন। বেশিরভাগ লোক হয়তো বলে বসবেন প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্টের কারণে এমনটি ঘটেছে। আসলে এসব কোনো কাজের কথা নয়। প্রকৃতিতে কেন এমন আলোড়ন সৃষ্টি হয়-এর কোনো উত্তর নেই, হতে পারে না। এটা একান্তই প্রকৃতির রহস্য। জাপানে বড় মাত্রার একটি ভূমিকম্প হওয়ার পরও প্রতিদিন সেখানে ছোটবড় ভূ-কম্পন হচ্ছে। এসবের চেয়েও বড় কথা, জাপানিরা আরও বড় রকমের ভূ-কম্পনের আশঙ্কা করছে। শিগগির এমন আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কল্পনাতীত হবে-এমন ভাবনায় প্রতিটি জাপানি আতঙ্কিত।
১১ মার্চের  ভূমিকম্প সুনামির ফলে তাৎক্ষণিক জীবনহানী সম্পদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা হয়তো আগামী দুই দশকে কাটিয়ে উঠতে পারবে জাপান কিন্তু এর ফলোশ্রুতিতে ফুকুশিমার দাইচি পরমানু বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লিতে সিরিজ বিস্ফোরণে কারণে ভবিষ্যতে যে মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে সেই আশঙ্কায় বিশ্ববাসী এখন আতঙ্কিত। ভূমিকম্পের পরদিন অর্থাৎ ১২ তারিখে ফুকুশিমার দাইচির নং ইউনিটে প্রথম চুল্লিতে  বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেদিনই বেশকিছু লোকের তেজস্ক্রিয়তা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। ১৩ তারিখে নং ইউনিটের চুল্লিতে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটার পর প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছিলেন, কিছু জ্বালানি অত্যন্ত তাপ বিকিরণ করে জ্বলছে। তাদের আশঙ্কা ছিল নং ইউনিটের সঙ্গে নং ইউনিট মিলে ২নং ইউনিটে তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটাতে পারে। যদি তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে যায় তাহলে সারামাস ধরে তেজস্ক্রিয় বাষ্পের উদ্গিরণ চলতে থাকবে। জাপানি কর্তৃপক্ষের আশঙ্কাই শেষমেষ সত্যে পরিণত হয়েছিল। ১৪ তারিখে তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহতার দিকে মোড় নেয়। একজন আমেরিকান বিশেজ্ঞের মতে, জাপানি মানুষ সময়ান্তরে হয়তো ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞের অভিশাপ মুক্তি হতে পারবে। কিন্তু পারমানবিক তেজস্ক্রিয়তা থেকে সহজে মুক্তি পাবে না। পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার ফিজিকসের একজন বিশেষজ্ঞ ড. পারভেজ হুদাবি তখন  দৈনিক বিস্টকে বলেছিলেন, আমি খুবই চিন্তিত, সামনের দিকে কী হবে কিছুই বলা যায় না। জাপানের আশপাশের দেশগুলোতে তেজস্ক্রিয়তা ছড়াতেই পারে। পাকিস্তানের বিশেষজ্ঞের আশঙ্কা একেবারে অমূলক নয়। জাপানের পানি বাতাসে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে-পরীক্ষায় ধরা পড়ছে।
১৯৪৫ সালের আনবিক বোমার আঘাতের ক্ষতই এখনও শুকিয়ে যায়নি, এখনও সেখানে বিকলাঙ্গ, প্রতিবন্ধি শিশুর জন্ম হওয়ার কথা শোনা যায়। জাপান আমেরিকান বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, ১৯৮৬ সালে রাশিয়ার চেরনোবিলের দুর্ঘটনার চেয়ে ফুকুশিমার দুর্ঘটনা অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। কারণ, এখানকার ছয়টি চুল্লির তিনটিই বিস্ফোরিত হয়েছে। এগুলো অনেক বেশি  শক্তিশালী। চেরনোবিল দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল চার হাজারের বেশি লোক এবং চেরনোবিল এলাকায় তেজস্ক্রিতা দ্বারা আহত হয়েছিল অসংখ্য মানুষ। জাপানি কর্তৃপক্ষ তখন জানিয়েছিলেন, ফুকুশিমার বিদ্যুৎপ্লান্টের ভেতরে বিপুল পরিমানে হাউড্রোজেন গ্যাস জমা হয়ে পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে। কোনো কোনো সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল, প্লান্টের ভেতরে হাইড্রোজেন ভর্তি বহু কণ্টেইনার সংরক্ষিত ছিল।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিকম্প সুনামি জনিত ধ্বংসযজ্ঞ থেকে উদ্ধার পেতে জাপানকে ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ জাপানের অবকাঠামোতে ভূমিকম্প সুনামি যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে গেছে আগামী দুদশক ধরে চেষ্টা করে হয়তো তা কাটিয়ে উঠতে পারবে। তাৎক্ষণিক উদ্ধার তৎপরতা সাহায্য কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশটির সরকার ১৩ তারিখেই দুর্গত এলাকায় ১০০,০০০ সৈনিককে প্রেরণ করেছিলেন। কম্বল পাঠিয়েছিলেন ১২০,০০০টি, পানি ১২০,০০০ বোতল এবং গ্যাসোলিন ১১০,০০০ লিটার। কিন্তু বাস্তবে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণাই ছিল না। দেশটির অর্থনীতির পতন ঠেকাতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমমূল্যের ১৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন বাজারে ছেড়েছিল। কিন্তু অর্থনীতির জন্য বিপর্যয়কর আরেকটি বড় ঘটনা ছিল, সনি, নিশান, টয়োটা ছাড়াও বড় বড় অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল। কোম্পানিগুলো তাদের কার্যক্রম আবার শুরু করতে পেরেছে বলে মনে হয় না। বহুদেশ জাপানে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়ে লোকজন সরিয়ে নিয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো, জাপানিরা কি হেরে যাবে ভূমিকম্প আর সুনামির কাছে? তারা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না? আমার মনে হয়, তারা তা পারবে। কারণ বড় রকমের পতন থেকে ওঠে দাঁড়াবার অভিজ্ঞতা তাদের আছে। কিন্তু ভয় হয়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় তো আর আমেরিকা, চীন কিংবা কোরিয়ার হামলার মতো নয়, যে তাদের সঙ্গে জ্বেদ ধরে অর্ধেকপোড়া দেহ নিয়ে গর্ত থেকে ওঠে এসেও দাঁড়াবার শেষ চেষ্টা করবে। ৮.৯ মাত্রার ভূমিকম্প আর ৩৩ ফুট উঁচু দিয়ে বহা পানির প্রবাহ বহা সুনামির সঙ্গে কীভাবে জ্বেদ ধরবে? বিল্ডিংয়ের ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে মৃত্যু হলে কিংবা পানির তোড়ে ভেসে গেলে জ্বেদ ধরার সুযোগ কি থাকে? জানা যায়, , , , , ৬ মাত্রার ভূ-কম্পন জাপানিদের গা-সহা হয়ে গেছেবিম্ময়ের ব্যাপার যে, ১৪ তারিখে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ৭৫ বার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিলএখন দেখবার বিষয়, জাপান কীভাবে ধৈর্যের সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবেলা করে
প্রিয় পাঠক, মানুষ হিসেবে আমার ভেতরে যুক্তিবুদ্ধির যে ক্ষীণ শিখাটি বুদ্বুদ আকারে উত্থিত হয় তার কারণেই হয়তো এ প্রশ্নটি মাথা চাড়া দিয়েছে যে, মানুষ না প্রকৃতি অধিক বিধ্বংসী? কার কাছে কতটুকু আশা করা যায়? আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই যে, সত্যিকার অর্থে দু'ক্ষেত্রেই হতাশা ছাড়া কিছু মেলে নাহ্যাঁ, এরপরও প্রকৃতিই আমার আশ্রয়, মানুষই আমার প্রতিবেশী, বন্ধুআমার বিপদে মানুষই এগিয়ে আসেআজ যে আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন নেতৃত্ব দিয়ে লিবিয়ার ওপর হামলা চালাচ্ছে-লিবিয়াকে উদ্ধারের নামে একইরকম শক্তি নিয়ে কিন্তু তারা এগিয়ে যায়নি ভূমিকম্প ও সুনামি বিধ্বস্থ জাপানীদের সাহায্য করতেএগিয়ে গেলেও তাদের উৎসাহটা তত লক্ষণীয় নয়, উৎসবপূর্ণ নয়কিন্তু লিবিয়া আক্রমণের শুরুতে তাদের মধ্যে একটা উৎসবের আমেজ আমরা দেখেছিএরপরও জাপান লিবিয়া আক্রমণে তাদের সমর্থন দিয়েছেআবার গাদ্দাফি তার বিরোধীদের হত্যার করতে চাচ্ছে বা করছে, আমেরিকা এসেছে সদলবলে তাদের রক্ষা করতেকিন্তু আমেরিকান সম্পদ ও মানব বিধ্বংসী ভয়াবহ ক্ষেপনাস্ত্রগুলো কিন্তু তার পাল্লার মধ্যে সবাইকেই হত্যা করছেযদি ধরে নিই যে, গাদ্দাফিপন্থীদেরই তারা হত্যা করছে, তবে এ হতাকাণ্ডের শিকার কারা? নারী ও শিশুকারণ এ যুদ্ধে গাদ্দাফিপন্থী সৈনিকদের চেয়ে বেশি মরছে নিরীহ মানুষএরপরও যদি ধরে নিই যে, এসব নারী-শিশুও গাদ্দাফিপন্থী, তারা গাদ্দাফি বিরোধীদের জন্য হুমকি, তাহলেও কিন্তু শেষমেষ এ প্রশ্নটা না তুলে পারা যায় না যে, তারা কি মানুষ না? আমেরিকা তো এসেছে মানুষ রক্ষা করতেঅপঘাতের সব মৃত্যুই তো জগৎ প্রশ্নাধীন করে, করে না?
 হ্যাঁ, কথা প্রকৃতি আর মানুষ নিয়েআমি বলব, প্রকৃতি ও মানুষ উভয়েই প্রকৃতিউভয়েই উভয়ের সৃষ্টি এবং পরিণতিকাজেই সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে-কার্যকারণ তত্ত্বের এসব কথা সর্বত্র কখনোই সমানভাবে খাটোনো যায় নাবিনাবাক্যে, নির্দ্বিধায় মেনে নিতে হবে-যা কিছু ঘটে যায়এবং তাতে যদি বড় ধরনের প্রাণহানী ও ধ্বংযজ্ঞও নিহিত থাকেপ্রকৃতির বোমা যেমন, ভূমিকম্প, সুনামি, ভূমিধ্বস, অগ্নুৎপাত, বন্যা মহামারি ইত্যাদি যে নামেই আখ্যায়িত করি না কেন-মানুষের তৈরি বোমার চেয়েও বেহিসেবীমানুষের বোমা বর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যায়, আন্দোলনের ডাক দেয়া যায়- কিন্তু প্রকৃতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চলে নাআর পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে এমনটি ঘটছে এ বক্তব্য এ জন্য যুক্তিগ্রাহ্য নয় না যে, অতীতে এমন অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়মূলক ঘটনা বিশ্বে অনেক অনেক দেশে ঘটেছেবিজ্ঞান দেখিয়েছে, প্রকৃতির আদিম অবস্থায় এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সংখ্যা অনেক বেশিতখন যা হয়েছে তাহলো, পঞ্চাশমাইল দূর থেকেই অপর কোনো জনপদের মানুষ তা জানতে পারেনি
শেষ কথা হলো হলো, এখন পৃথিবীর মানুষকে সবচেয়ে বড় দুটি মিশনে অবতীর্ণ হতে হবেএকটি মিশন হলো, আনবিক বোমা থেকে ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে কীভাবে বাঁচানো যায় সেটি নিয়ে ভাবাঅপরটি হলো, ভূমিকম্প প্রতিরোধের মিশন  ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিগণ হয়তো দ্বিতীয় মিশনের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলবেনআল্লাহ (বা ঈশ্বর) কি মানুষকে এমন ক্ষমতা দেবেন? অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, একসময় মানুষের কাছে অসম্ভব বলে মনে হলেও মানুষ প্রকৃতির অনেকখানিই জয় করে নিয়েছেবিজ্ঞানের অগ্রগতি কল্পনাকেও হার মানিয়েছেকাজেই এটাও সম্ভব হতে পারেঝড়ের পূর্বাভাসের মতো ভূমিকম্পেরও র্পর্বাভাস পাওয়ার চেষ্টা চালানো যেতে পারেজাপানিদেরই এ জন্য সর্বপ্রথম উদ্যোগী হতে হবেকারণ তাদের প্রয়োজনটাই সবচেয়ে বেশিকথায়ও আছে, প্রয়োজনই আবিষ্কারের মূল

গাজী সাইফুল ইসলাম: অনুবাদক, প্রাবন্ধিক
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলীর বিশ্লেষক
 gazisaiful@gmail.com

কোন মন্তব্য নেই :