গাজী সাইফুল ইসলামের কয়েকটি কবিতা


ওই মুখ

ওই মুখ পানে তাকানোর স্বাদ
মিটে না কখনো
দুর্বল মনে রয়ে যায় খেদ বহুদিন
রাতদিন কাটে দুর্ভাবনায়
জীবনায়ু হয় শুধু ক্ষীণ
তাই মনে অয় অন্ধ হৃদয়
অধম ভিখেরি-যায় অবেলায়
প্রিয় দরশনে,
না দেখে অন্যকিছু পথ, জনপদ
ওই মুখ দেখবারে চায়

সংসার

সংসার, আহ্‌ সংসার, বালুচর
আতিপাতি করে খুঁজি
দিনমান-কোথা আমার ঘর?
সামনে ডাকে অচেনা পথ
পেছনে অন্ধকার
মনের জানালা খুলে দেখি
কোথাও কেউ নেই আমার

অনূদিত কবিতা

ভালোবাসা উত্তপ্ত হলে
তুমি হও মিট
দুনের ঠোঁট হলে একত্র
ভালোবাসা হয় কমপ্লিট

***
আমি যদি হতাম অশ্রু তোমার চোখে
দুগাল বেয়ে গড়িয়ে পড়তাম ঠোঁটে
আর তুমি যদি হতে অশ্রু আমার চোখে
হারাবার ভয়ে আমি কাঁদতাম না মোটে

***
অসংখ্য ফুলের সমারোহে তুমি আমার গোলাপ
ডায়ামন্ডের কারুকাজে তুমি আমার কোহিনূর
তারকাখচিত আকাশে তুমি আমার চাঁদ
আমি মাত্র একটি শরীর তুমি তার হৃদয়
তোমাকে ছাড়া এ দেহে ধরে পচন, ধরে ক্ষয়

***
একশো বছরের দীর্ঘ জীবনে যে জন কাঁদে না সুখে
কোনোই ভালোবাসার নিপীড়নে
তার মতো এমন হতভাগা কে
যাকে খায় হতাশা, কী প্রয়োজন তার জগতের বুকে

***
ভালোবাসা অন্ধ
তাই একটু দয়া করো
যখন আমি খাই চুমো
একটু জড়িয়ে ধরো
এমন আব্দারে
কিছু করো না মনে
এজীবনে করব না পর
বাধব ঘর পবনে

***
তুলার মতো নরম মেঘ যেমন চুমো খায় আকাশকে
বাহারি গোলাপ যেমন চুমু খায় প্রজাপতিকে
ফোঁটা ফোঁটা শিশির যেমন চুমু খায় ঘাসকে
তেমনই প্রিয়তম তুমিও চুমু খেতে পারো আমাকে

***
তোমার আমার ভালোবাসার
সহস্র বছর-মাস-দিন
এক চুমোতে কাটলেও জীবন
হয় না চাওয়া-পাওয়া ক্ষীণ